ক্লাস ৯ থেকে ক্লাস ১২ পর্যন্ত সকল শ্রেনীতেই পরিক্ষায় প্রতিবেদন লিখার কথা আসে। প্রতিবেদন লেখাটা অনেকের কাছেই কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু আমি বলব এই রকমের প্রশ্নের ক্ষেত্রে আপনি একবারও ঘাবরাবেন না। আমি কথা দিচ্ছি প্রতিবেদন লেখার নিয়মে আপনি ভাল মার্ক পাবেন। ইনশাআল্লাহ। আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, কিভাবে খুব সহজে একটি প্রতিবেদন লিখবেন।
একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিবেদন নিয়ে বিস্তারিত জানার প্রয়োজন নেই। তবে তোমাদের কাছে এটা জানতে চাওয়া হয় তুমি প্রপারলি একটি ফরম্যাট দার করাতে পারো কিনা। তুমি যদি প্রপারলি ফরম্যাটটা লিখে দিতে পার তাহলে তুমি ৫০% মার্ক পেয়ে যাবে। তবে প্রতিবেদন অবশ্যই ১ পেজের মধ্যেই লেখার চেষ্টা করবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই প্রশ্নটার বিকল্প প্রশ্নটা সহজ হলেও প্রতিবেদন এর উত্তর করাটা শ্রেয়।
✅ পরীক্ষায় প্রতিবেদন লেখার নিয়মাবলি
প্রতিবেদনের টাইটেলটা পরে দিলে আমার কাছে মনে হয় বেটার হয়। কারন লেখার কনটেক্সট কেমন হবে তার উপর নির্ভর করে টাইটেল দিলে ভাল হবে।
কল্পনার পরিবর্তে বাস্তব তথ্য ব্যবহার করুন
ব্যক্তিগত মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন (যদি না চাওয়া হয়)
প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
তারিখ: ২৫/০২/২০২৫ খ্রি.
বরাবর,
অধ্যক্ষ
ঢাকা সিটি কলেজ
মতিঝিল, ঢাকা ১২০০।
বিষয় : প্রতিবেদনের বিষয়
সূত্র : সে/২/প্র/২৫ তাং: ২৫/১১/২০২২ খ্রি. [যেকোনো কিছু হতে পারে (প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে)]
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং (সে/২/প্র/২৫) অনুসারে কলেজের আন্ত ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করছি।
প্রতিবেদনের টাইটেল দিবেন: ; শিরোনাম আকর্ষণীয় দেওয়ার চেষ্টা করবেন
———————–(মূল প্রতিবেদন)—————————————–
নিবেদক,
মামুনুল ইসলাম (দশম শ্রেনী)
ঢাকা সিটি কলেজ
মতিঝিল, ঢাকা।
উদাহরণ: তোমার কলেজ গ্রন্থাগার সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা কর
২ আগস্ট, ২০২১
বরাবর
অধ্যক্ষ
দিনাজপুর সরকারি কলেজ
দিনাজপুর
বিষয়: কলেজ গ্রন্থাগার বিষয়ক প্রতিবেদন।
সূত্র: সে/২/প্র/২১
জনাব,
আপনার প্রেরিত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে দিনাজপুর সরকারি কলেজের গ্রন্থাগার পরিদর্শন এবং অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করছি।
প্রতিবেদনের টাইটেল: কলেজ লাইব্রেরির সংস্কার প্রয়োজন
ছাত্র ছাত্রীদের দাবির কারণে কলেজ লাইব্রেরি স্থাপন করা হলেও এখন তার অবস্থা খুবই করুণ। লাইব্রেরি দেখাশুনার মত কাউকে সবসময় পাওয়া যায় না। গ্রন্থাগার বিষয়ে পাশ করা কোনো ব্যক্তিকে সেখানে নিয়োগ না দেওয়ায় লাইব্রেরির এই বেহাল দশা। প্রতি মাসে নতুন নতুন বই আসার কথা থাকলেও ৬-৭ মাসেও তা আসে না। যে যার মত শুধু ডাইরিতে লিখে বই নিয়ে যায়, কেউ ফেরত দেয় আবার কেউ দেয় না। আইডি কার্ডের ব্যবস্থা না থাকায় যারা বই ফেরত দেয় না তাদেরকে শনাক্তকরণ করাও সম্ভব হয় না। লাইব্রেরিতে এখন খুব বেশি হলে মাত্র ৫০০ টি বই থাকতে পারে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য।
এমতাবস্থায় লাইব্রেরির সংস্কারে নিচের বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
১. কলেজে একজন ভালো মানের লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দিতে হবে যিনি লাইব্রেরি সাইন্স থেকে পাশ করেছেন।
২. যেসব ছাত্র ছাত্রী লাইব্রেরি থেকে বই গ্রহণ করবেন তাদের জন্য আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. প্রতি মাসে নতুন নতুন বই সংযুক্ত করতে হবে।
৪. যারা বই নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে বই প্রদান করবে না তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. বইগুলো যেমন তেমন ভাবে না সাজিয়ে তা যেন ক্যাটালগ পদ্ধতিতে সাজানো থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. বই ক্রয়ের জন্য কলেজ থেকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।
৭. লাইব্রেরির জন্য ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে বার্ষিক চাঁদা নিতে হবে।
নিবেদক,
জাহিদ সবুর (দশম শ্রেনী)
দিনাজপুর সরকারি কলেজ
দিনাজপুর
সংবাদপত্রে প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
০৫ জুন, ২০২৪
বরাবর
সম্পাদক
আমার দেশ
কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
বিষয়: করোনা টিকা দেওয়ার সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশের নিমিত্তে প্রতিবেদন।
জনাব,
আসসালামু আলাইকুম। অনুগ্রহপূর্বক নিম্নোক্ত প্রতিবেদনটি আপনার বহুল পরিচিত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
বিনীত
নকিব রায়হান
প্রতিবেদনের টাইটেট আকর্ষনীয় হওয়া চাই।
———————–মূল প্রতিবেদন লিখুন——————————————।
- সমস্যা নিয়ে কথা বললে তা সমাধানের জন্য কিছু পরামর্শ থাকলে পয়েন্ট আকারে দিন।
প্রতিবেদকের স্বাক্ষর:
প্রেরক, নকিব রায়হান ঢাকা কলেজ | প্রাপক, সম্পাদক আমাদের দেশ মতিঝিল, ঢাকা-১২০০। |
উদাহরণ: তোমার এলাকায় করোনা টিকা দেওয়ার বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
০৫ জুন, ২০২৪
বরাবর
সম্পাদক
আমার দেশ
কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
বিষয়: করোনা টিকা দেওয়ার সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশের নিমিত্তে প্রতিবেদন।
জনাব,
আসসালামু আলাইকুম। অনুগ্রহপূর্বক নিম্নোক্ত প্রতিবেদনটি আপনার বহুল পরিচিত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
বিনীত
জাহিদ সবুর
করোনা টিকা দিতে মানুষের যত ভোগান্তি
ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানায় করোনার টিকা দিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে সবাই।করোনা টিকা নিতে গিয়ে অনেক মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে লম্বা লাইন, নিবন্ধনের জটিলতা, পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা ও ছায়ার অভাব দেখা যাচ্ছে। বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। অনেকে ঠিকমতো তথ্য না পেয়ে দ্বিধায় পড়ছেন। তাছাড়া অনেক কেন্দ্রে সঠিক দিকনির্দেশনা না থাকায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের জন্য টিকা সেবা সহজ ও ভোগান্তিমুক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
- টিকা নিতে উৎসাহ প্রদান করা।
- সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা
- গুজব বন্ধে আইন প্রয়োগ করা
- কম্পিউটার দোকানে রেজিস্ট্রেশনের খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া।
প্রতিবেদকের স্বাক্ষর
প্রেরক, জাহিদ সবুর সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ দিনাজপুর | প্রাপক, সম্পাদক আমাদের দেশ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ |