জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিপিএড দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা আগামী ৭ অক্টোবর ২০২৫ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এই খবরটি সকল বিপিএড শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
পরীক্ষার সময়সূচী কী রকম?
২০২৫ সালের ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন কোর্সের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এই লিখিত পরীক্ষাগুলো প্রতিদিন সকাল ৯টায় শুরু হবে। এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৯ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো শুরু হবে সকাল ৭টায়।
প্রবেশপত্র কীভাবে সংগ্রহ করবেন?
পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ৪-৫ দিন আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (ems.nu.ac.bd) থেকে রোল নম্বর ও প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। প্রবেশপত্র প্রিন্ট করার পর নির্ধারিত স্থানে পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগাতে হবে। তারপর সেই ছবির উপর কলেজের অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে বিতরণ করতে হবে।
প্রবেশপত্রে কোনো ভুল থাকলে পরীক্ষা শুরুর আগেই সেটি সংশোধন করে নিতে হবে। মনে রাখবেন, প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
পরীক্ষা কেন্দ্রের ফি কত?
বিপিএড পরীক্ষা কেন্দ্রের ফি প্রতি পরীক্ষার্থীর জন্য ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ৭০০ টাকার মধ্যে ৬০০ টাকা কলেজের অধ্যক্ষদের পরীক্ষা শুরুর ২-৩ দিন আগে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে। রোল বিবরণীর প্রিন্ট কপি (এক কপি) সাথে হস্তান্তর করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
বিপিএড শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন। প্রথমত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত চেক করুন। দ্বিতীয়ত, প্রবেশপত্রের সকল তথ্য সঠিক আছে কিনা যাচাই করুন। তৃতীয়ত, পরীক্ষার সময়সূচী অনুযায়ী পড়াশোনার পরিকল্পনা করুন।
লিখিত ও ব্যবহারিক উভয় পরীক্ষার জন্য আলাদা প্রস্তুতি নিন। ফিজিক্যাল এডুকেশনের তত্ত্বীয় বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়ুন এবং ব্যবহারিক অংশের জন্য শারীরিক প্রস্তুতি রাখুন।
পরীক্ষায় সফলতার জন্য টিপস
বিপিএড পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে নিয়মিত অনুশীলন জরুরি। খেলাধুলা ও শারীরিক শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধি করুন। পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনার দিকে বিশেষ নজর দিন।
মনে রাখবেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপিএড কোর্স একটি পেশাদার শিক্ষা কার্যক্রম। এই ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর আপনি শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। তাই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের কথা মাথায় রেখে পড়াশোনা করুন।
এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা। সঠিক প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে সফলতা অবশ্যই আসবে।